লেখায় আছো তুমিই বেঁচে (৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬)

cropped-smile-wallpaplker6.jpg

 

এই লেখাটা কাল রাতে একজনের সঙ্গে কথা বলতে-বলতে লেখা। লেখার সঙ্গে একঘণ্টার ওই কথাটা না হলে লেখাটা লিখতে একঘণ্টা লাগত না। আবার ওই একঘণ্টাটা ওরকম না কাটলে লেখাটা ঠিক এরকম হতও না।

আমার তুমি, তোমার আমি, আর বাকি সব ধাঁধা,/আর-জন্মের আছেই জানি ঋণের কোনও বাঁধা!
কথা শুধু মুখেই বুঝি, মন বুঝি সে চুপ?/মরূর বুকেও ঠিক একদিন বৃষ্টি টিপটুপ।
তবু কেন দুঃখ তোমার, কষ্ট কেন ভারি?/সমাজকে দাও চড় থাপ্পড়, পারলে করো আড়ি!
এমনি করে কাব্যি লিখে কে মোছাবে জল?/কে-ই বা তোমায় চিনল এত, অবুঝ প্রেমের ফল।
দুঃখ তোমার, কান্না আমার, এক হবে যে রাতে,/আমায় তুমি পাশেই পাবে, উষ্ণ জোড়া-হাতে।
আমায় তুমি কী দিয়েছ, হিসেব কে বা রাখে,/আমার সুখের সাঁঝ নেমেছে তোমার শুভ্র শাঁখে!
আমার ঘরে জ্বললে আলো তোমার প্রদীপ দায়ী,/ ঘর চিনেছে বছর ঘুরে পাগল পরিযায়ী!
জন্ম না হয় না-ই বা নিলাম নিয়ম-সমাজ মেনে,/মরতে পারি হাসি মুখে তোমায় খুঁড়ে জেনে!
একতরফা প্রেম, সে হলেও, কষ্ট নিতাম হেসে,/কেন এত এলে কাছে, ভাল এত বেসে!
এমন পাগল কেউ ছিল না, হবেও না তো কেউ,/মাইল মাইল ভেসে যাওয়া, তীর চেনাবে ঢেউ!
ভেসে যাওয়ায় একার কী সুখ, কিচ্ছুটি তা নেই,/দৌড়ে গিয়ে দোর খুলেছি, তোমার আশাতেই।
করেছিলাম ভীষণ মানা, রুখেছিলাম তোমায়,/ভালবাসা পড়েই ছিল বিচ্ছিরি এক কোণায়!
আজকে দ্যাখো প্রেম শুয়েছে নিশ্চিন্তি কোমায়,/সঙ্গে থাকার কথা কেমন, ভেজা-ভেজা শোনায়।
ভেজা শহর, খুব হাঁটুজল, হাতে-ধরা হাত,/একসঙ্গে কাটছে কত মনখারাপের রাত!
এই রাতে যাও ঘুমিয়ে ভারি, কথা থাকুক বাকি,/কালকে আবার যুদ্ধ দারুণ, লড়াই অনেক বাকি!
এই রাতে প্লিz মুখ ফেরানো, একলা ছাড়ো আমায়,/লেখায় আছো তুমিই বেঁচে, বিশ্বাসে সব মেলায়!
তোমার মনের সবটুকু চাই, অনিশ্চয়ের সায়,/রাত্রি জেগে বৃষ্টি তাড়াই, মলম পড়ুক ঘায়।

এ জীবনে নেই তো বাকি কোনওকিছুই দ্যাখার,/দেখতে চাই আমার তুমি। আর তুমিও শুধু… শুধুই আমার।

Leave a comment